প্রকাশিত: ০৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১৩:৩০ (শনিবার)
ভারত-বাংলাদেশের ভিসা জালিয়াতির অভিযোগে কানাডার নতুন আইন প্রস্তাব

কানাডা সরকার বিদেশিদের গণহারে ভিসা বাতিলের ক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে। এ লক্ষ্যে দেশটির পার্লামেন্টে বিল সি–১২ উত্থাপন করা হয়েছে। প্রস্তাবটির পেছনে মূল কারণ হিসেবে ভারত ও বাংলাদেশ থেকে আসা বিপুলসংখ্যক জাল ভিসা আবেদনকে দায়ী করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কানাডার জাতীয় গণমাধ্যম সিবিসি নিউজ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কানাডার ইমিগ্রেশন, শরণার্থী ও নাগরিকত্ব বিভাগ (আইআরসিসি) এবং কানাডা বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সি (সিবিএসএ) ইতোমধ্যে মার্কিন অংশীদারদের সঙ্গে যৌথভাবে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করেছে। এই দলের কাজ হবে ভিসা জালিয়াতি শনাক্ত করা ও তা বাতিলের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা।

অভ্যন্তরীণ সরকারি নথিতে ভারত ও বাংলাদেশকে ‘নির্দিষ্ট চ্যালেঞ্জিং দেশ’ হিসেবে চিহ্নিত করে বলা হয়েছে, এসব দেশ থেকে আসা বিপুলসংখ্যক জাল আবেদনই নতুন ক্ষমতার প্রয়োজনীয়তা তৈরি করেছে।

যদিও প্রকাশ্যে ইমিগ্রেশনমন্ত্রী লেনা দিয়াব বলেছেন, এই পদক্ষেপ মহামারি বা যুদ্ধের মতো বিশেষ পরিস্থিতিতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে সরকারের হাতে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা দেবে—এবং কোনো নির্দিষ্ট দেশকে লক্ষ্য করে নয়।

অন্যদিকে, মাইগ্র্যান্ট রাইটস নেটওয়ার্কসহ ৩০টির বেশি মানবাধিকার ও অভিবাসী অধিকার সংগঠন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের আশঙ্কা, এই আইন পাস হলে সরকার ইচ্ছেমতো বিদেশিদের ভিসা বাতিল করে ‘গণবহিষ্কারের যন্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করতে পারে।

অভিবাসন আইনজীবীরাও প্রশ্ন তুলেছেন—এই ক্ষমতা আসলেই প্রশাসনিক জট কমানোর জন্য কি না, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে।

আইআরসিসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রস্তাবিত আইন কোনো নির্দিষ্ট দেশ বা গোষ্ঠীকে টার্গেট করছে না; বরং সীমান্তে ভুয়া পর্যটক ও অবৈধ পারাপার রোধে এটি ‘দৃঢ় পদক্ষেপ’।

তাদের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের জুন থেকে মার্কিন সীমান্ত হয়ে অবৈধভাবে কানাডায় প্রবেশের হার ৯৭ শতাংশ কমেছে, এবং জালিয়াতির কারণে ভিসা বাতিলের হার বেড়েছে ২৫ শতাংশ।

তবে কেন অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনে বিশেষভাবে ভারত ও বাংলাদেশকে উল্লেখ করা হয়েছে—সিবিসি নিউজের এ প্রশ্নের সরাসরি কোনো উত্তর দেয়নি কানাডীয় কর্তৃপক্ষ।

 

বার্তা সিলেট ডটকম / ইকবাল