প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর, ২০২৫ ০৭:৪১ (শনিবার)
সরকারী প্রাথমিকে মেধা বৃত্তি পরীক্ষা”২০২৫ নিয়ে অনিশ্চয়তা

মেধাযাচাই ২০২৫ পরীক্ষা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা

 

 বার্তা সিলেট ডেস্ক : সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থী মেধাযাচাই  ২০২৫ পরীক্ষা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। হাইকোর্টের আদেশের বিরোদ্ধে মন্ত্রণালয়ের রীট আবেদনের প্রস্তুতি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরী হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহকারী পরিচালক (সাধারন প্রশাসন) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পত্রে আগাম ২১ ডিসেম্বর থেকে বৃত্তিপরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়। গত ১৭ জুলাইয়ের এক স্মারকে শুধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে-এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার পর কেরানীগঞ্জ পাবলিক ল্যাবরেটরি স্কুলের পরিচালক মো: ফারুক হোসেনসহ ৪২ জন তা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন। এনিয়ে গত ৩ নভেম্বর উক্ত বৃত্তি পরীক্ষায় বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের ঘোষণা দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালিয়। ফলে নতুন করে আইনি জটিলতা তৈরি হচ্ছে। আগামী ডিসেম্বরের পূর্বঘোষিত সময়সূচিতে বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজন করা যাবে কি না,সেটিও এখন অনিশ্চয়তার দেখা দিয়েছে। রীট আবেদন চূড়ান্ত শুনানির পর আদালত ২০০৮ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নীতিমালার আলোকে বেসরকারি শিক্ষার্থীদেরও পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়ার নির্দেশ দেন। রায়ের প্রাথমিক ও চূড়ান্ত নির্দেশ অনুসারে ১৫ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে মন্ত্রণালয়কে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়,সরকারের বিরুদ্ধে কোনো রায় গেলে আপিল করতেই হয়।এটি একটি ফরমালিটি।আপিল দাখিলের প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বৃত্তি পরীক্ষা নেয়া হবে না।ডিসেম্বরের মধ্যে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।তবে নিয়মতান্ত্রিক সব প্রক্রিয়া শেষ করেই ৩ নভেম্বরে হাইকোর্টের আদেশে বৃত্তি পরীক্ষা দেয়ার অধিকার ফিরে পেয়েছিল দেশের কয়েক লাখ কোমলমতি শিক্ষার্থী।উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করেন বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের যুগ্ম মহাসচিব ফারুক হোসেন। রিট পিটিশন নং ১৪৭৩৫/২০২৫। আর এই রিটে পক্ষভুক্ত হয়ে আইনি লড়াইয়ে যুক্ত হন আরো ৪২ জন শিক্ষক। শুনানিতে অংশ নেন বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট নিয়াজ মোর্শেদ।বাংলাদেশের কিন্ডারগার্টেন স্কুলের ছয় লাখ শিক্ষক দেশের এই অর্জনের অংশীদারও বটে। বেসরকারী কিল্ডারগার্টেন শিক্ষক,অভবাবক ও শিক্ষার্থীদের দাবি হচ্ছে-বর্তমান বৈষম্যবিরোধী সরকারের সময়ে কিন্ডারগার্টেনের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আবারও সেই বৈষম্যের শিকার হোক এটা আমরা আশা করি না।