সংগ্রহীত
ফ্রান্স সরকার নাগরিকত্ব, দীর্ঘমেয়াদী বসবাস এবং স্থায়ী রেসিডেন্স পারমিটের জন্য নতুন নিয়ম চালু করেছে। গত ১০ অক্টোবর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রোতাইয়োর করা ডিক্রির মাধ্যমে বিদেশিদের জন্য ৪০ নম্বরের এমসিকিউ (MCQ) বা নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
নতুন নিয়ম ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
২০২৪ সালের নতুন অভিবাসন আইনের ধারাবাহিকতায় এই ডিক্রি এসেছে। ফ্রান্সে নাগরিকত্ব ও অভিবাসন নীতি কঠোর করার লক্ষ্যেই আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।
আইনের প্রধান দিকগুলো হলো: ফরাসি ভাষায় উচ্চ দক্ষতা (বি২ স্তর), ফরাসি প্রজাতন্ত্রের নীতিতে বিশ্বাস, গত পাঁচ বছরের পেশাগত স্থিতিশীলতা এবং সামাজিক অন্তর্ভুক্তি।
নাগরিক পরীক্ষা ডিজিটাল পদ্ধতিতে নেওয়া হবে। এতে ৪০টি প্রশ্ন থাকবে, যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে-
প্রজাতন্ত্রের নীতিমালা ও মূল্যবোধ: ১১টি প্রশ্ন
রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো: ৬টি প্রশ্ন
অধিকার ও কর্তব্য: ১১টি প্রশ্ন
ইতিহাস, ভূগোল ও সংস্কৃতি: ৮টি প্রশ্ন
ফরাসি সমাজে জীবনযাপন: ৪টি প্রশ্ন
পরীক্ষার সময়সীমা ৪৫ মিনিট। পাশের জন্য প্রার্থীদের অন্তত ৮০ শতাংশ সঠিক উত্তর দিতে হবে।
পরীক্ষা শুধুমাত্র অনুমোদিত কেন্দ্র এবং ফরাসি ভাষায় অনুষ্ঠিত হবে।
পরিচয় যাচাই বাধ্যতামূলক, আর প্রতারণা প্রমাণিত হলে পরীক্ষা বাতিল এবং পরবর্তী দুই বছরের জন্য আবেদন নিষিদ্ধ হবে।
ফরাসি সরকার এই পরীক্ষাকে অভিবাসীদের অন্তর্ভুক্তি ও নাগরিক মূল্যবোধের পুনর্নির্মাণের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে। তবে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো সতর্ক করেছেন, নতুন ভাষা ও দক্ষতা মানদণ্ড নিম্ন আয়ের পরিবার ও শরণার্থীদের জন্য কঠিন বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
ফ্রান্সে নাগরিকত্ব পরীক্ষায় এমসিকিউ ধারণা নতুন নয়। ২০১১ সালে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লদ গেয়ো প্রথম প্রস্তাব দেন, তবে ২০১২ সালে তা বাতিল করা হয়। এক দশকের বেশি সময় পর ২০২৫ সালে ব্রুনো রোতাইয়োর ডিক্রির মাধ্যমে এটি পুনর্বহাল হলো।
বার্তা সিলেট ডটকম / ইকবাল
আন্তর্জাতিক থেকে আরো পড়ুন
