সিলেট

সিলেট-৪: বিএনপি ও জামায়াতের মুখোমুখি লড়াই

প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২৫ ১৬:০৭

সিলেট জেলা, বিশেষ করে জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ২৫টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত সিলেট-৪ আসন নির্বাচনীভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের বৃহত্তম পাথর কোয়ারি ভোলাগঞ্জ, জাফলং, বিছনাকান্দি ও শ্রীপুর এই আসনে অন্তর্ভুক্ত থাকায় রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে এটি গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া দেশের একমাত্র মিঠাপানির জলাবন রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টও এই আসনে রয়েছে।

 

উল্লেখযোগ্য, এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্ররা ভোটের মাঠ থেকে ‘আউট’, ফলে আসনটি দখলের লড়াই মূলত বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর মধ্যে হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

 

বিএনপির অন্তত নয়জন মনোনয়নপ্রত্যাশী মাঠে রয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন: সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী, মহানগর সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, সাবেক সহসভাপতি ও গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম চৌধুরী, সহ সভাপতি মো. ফখরুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার কামরুজ্জামান সেলিম, সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত দিলদার হোসেন সেলিমের সহধর্মিণী এডভোকেট জেবুন্নাহার সেলিম, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হেলাল উদ্দিন আহমদ, সাবেক নেতা অ্যাডভোকেট শামসুজ্জামান জামান, বিএনপি নেতা আব্দুল হক।

 

অন্যদিকে, ইসলামী দলগুলোর মনোনয়নপ্রার্থীরা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে। এরা হলেন: জামায়াতে ইসলামীর জেলার সেক্রেটারি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মোহাম্মদ আলী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মাওলানা আলী হাসান উসামা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা সাইদ আহমদ।

 

এছাড়া জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সমন্বয়কারী ফয়সল আহমদ এবং জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক আলী হুসেনও মনোনয়ন প্রত্যাশী।

 

মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী বলেন, “দলের নির্দেশে মাঠে রয়েছি। দলের দুর্দিনে নেতৃত্ব দিয়েছি, জেল-জুলুম সহ্য করেছি। মানুষের দুয়ারে দুয়ারে বিএনপির ৩১ দফা পৌঁছে দিচ্ছি। আশা করি দল আমাকে মূল্যায়ন করবে।

 

সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম চৌধুরী বলেন, “আমি দুইবার গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলাম। মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্কের কারণে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে চাই। বাকিটা দলের সিদ্ধান্ত।

 

জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম বলেন, “৪১ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাস রয়েছে। বিগত সরকারের আমলে ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছি, অসংখ্যবার কারাবরণ করেছি। এ বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে দল আমাকে মূল্যায়ন করবে বলে আশাবাদী।”

 

জামায়াতে ইসলামীর জেলার সেক্রেটারি মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, “দল আমাকে প্রার্থী করেছে। সাধারণ মানুষের কাছে যাচ্ছি। সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছি। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। মানুষ এবার পরিবর্তন চায়।”

 

সিলেট-৪ আসনটি তাই এবারের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বড় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লড়াইয়ের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে দেখা হচ্ছে।

 

বার্তা সিলেট ডটকম / ইকবাল 

সিলেট থেকে আরো পড়ুন