নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় রাতের আঁধারে এক কৃষকের ক্ষেতের প্রায় ৫০০টি লাউ, করলা ও কুমড়ার গাছ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সকালে নিজ জমিতে গিয়ে ধ্বংসস্তূপের দৃশ্য দেখে ভেঙে পড়েন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক শফিকুল ইসলাম।
ফতেহপুর গ্রামের এই কৃষক স্থানীয় যুবলীগের সাধারণ কর্মী এবং হুমায়ুন কবিরের ছেলে।
শফিকুল ইসলাম জানান, তিন মাস আগে তিনি বাড়ির পাশে কয়েক শতক জমিতে আগাম সবজি চাষ করেন। নিয়মিত পরিচর্যার ফলে ভালো ফলনও হয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার সকালে জমিতে গিয়ে দেখেন, রাতের আঁধারে তার সব লাউ, করলা ও কুমড়ার গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এতে তার প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. বাবলু বলেন, “এভাবে ৫০০টির বেশি গাছ কেটে ফেলা নিছক অপরাধ নয়—এটা চরম অমানবিকতা। একজন পরিশ্রমী মানুষের স্বপ্ন ধ্বংস করা হয়েছে। এমন ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার।”
কৃষক শফিকুল আরও বলেন, “আমার কারো সঙ্গে প্রকাশ্য শত্রুতা নেই। আগে আমার মাছ ও মহিষও নিয়ে গেছে, তবুও আমি কাউকে অভিযুক্ত করিনি। আমি সাধারণ রাজনৈতিক কর্মী মাত্র। তাহলে কেন বারবার আমার রিজিকের ওপর এমন আঘাত করা হচ্ছে বুঝতে পারছি না। আমি প্রশাসনের কাছে দ্রুত বিচার ও দোষীদের শাস্তি দাবি করছি।”
এ বিষয়ে স্থানীয় জামায়াত নেতা সাইফুল ইসলাম হুজুর বলেন, “রিজিকের ওপর এমন হাত দিলে আল্লাহ নারাজ হন। আমরা কেউ কারো ক্ষতি চাই না। যারা করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া উচিত।”
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন মিয়া বলেন, “বিষয়টি জানি, তবে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। ভুক্তভোগী অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বার্তা সিলেট ডটকম / ইকবাল
বাংলাদেশ থেকে আরো পড়ুন
