সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ পোস্টের প্রতিযোগিতা
জাতীয় নির্বাচনের আগে না একই দিনে গণভোট ?
প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২৫ ১২:৩১
হ্যাঁ’ এবং ‘না’ ছবির পোস্ট নিয়ে সরব ফেসবুক
বার্তা সিলেট ডেস্ক : জুলাই সনদের ভিত্তিতে গণভোট নিয়ে হঠাৎ উত্থাল হয়ে উঠেছে জাতীয় রাজনীতি। এর মধ্যে বিভিন্ন অজুহাতে জুলাই আনন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া ছাত্রদের রাজনৈতিক দল এনসিপি সনদের স্বাক্ষর না করেই এর বাস্তবায়ন ও গণভোট নিয়ে সরব হয়ে উঠেছে। তাদের সাথে সুর মিলিয়েছে পিআর ভিত্তিক নির্বচানে সরব থাকা জাময়াতে ইসলামী। যদিও জামায়াতের ওই নীতিকে প্রতারণা বলে অভিহিত করেছে এনসিপি। ওদিকে, জুলাই সনদরে সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনিুসের নিকট জমা দিয়েছে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন। এর পরই হঠাৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সরগরম হয়ে উঠেছে ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ পোস্টে। মূলত গণভোটের পক্ষে বিপক্ষে নতুন প্রচারণা শুরু হয়েছে। নিউজফিডজুড়ে ভেসে বেড়াচ্ছে হ্যাঁ না পোস্টের প্রতিযোগিতা।
বুধবার দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে ফেসবুকের পাতায় পাতায় ঘুরছে এমন পোস্ট। যদিও বেশিরভাগেরই পোষষ্টে কারণ উল্লেখ করা হয়নি। স্বাভাবিকভাবে অনেক মানুষ অবাক হচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়ার এই ট্রেন্ডটিতে। প্রকৃতপক্ষে এর পেছনের কারণ কী? কারা হ্যাঁ, কারা না এর পক্ষ নিচ্ছেন অথবা কেনই বা নিচ্ছেন? সবমিলিয়ে যে প্রসঙ্গটি আলোচনায় এসেছে তা হলো গণভোট।
মূলত গণভোটের প্রশ্নে একদিকে অংশ নিয়েছে বিএনপি, অপরদিকে জামায়াত ও এনসিপি। এরই বহিঃপ্রকাশটিই হলো ‘হ্যাঁ’ এবং ‘না’ ছবি পোস্ট করা।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যে সুপারিশ সরকারকে দিয়েছে। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। বিএনপি জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজন করার বিষয়ে অনড়। তবে জামায়াতে ইসলামী চায় নভেম্বরে গণভোট।
অন্যদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টি সুনির্দিষ্ট সময় না বললেও সংসদ নির্বাচনের আগেই গণভোট আয়োজনের দাবি জানিয়েছে। ফলে জামায়াত ও এনসিপির দাবি কিছুটা কাছাকাছি হলেও বিএনপি এ ব্যাপারে কোনো ধরনের সমর্থন দেয়নি। ফলে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উত্তাল হয় উঠেছে।
দেশ যখন একটি নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল তখন ঐকমত্য কমিশনের এ সুপারিশ সচেতন মানুষকে হতবাক করেছে। এ ঘটনা জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্নিত করবে। নির্বাচন নিয়ে নতুন করে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হবে। ইতোমধ্যে বিএনপি এ সুপারিশের ব্যাপারে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে উপায়-সম্পর্কিত যেসব সুপারিশ জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জমা দিয়েছে । এনিয়ে চরম ক্ষুব্ধ বিএনপি। দলের নীতিনির্ধারণী মহলের সদস্যরা বলেছেন, এটি ঐক্যের বদলে জাতীয় অনৈক্য তৈরির চেষ্টা হয়েছে। জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সুপারিশের মাধ্যমে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ‘জাতীয় অনৈক্য’ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছে। দলের স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে জাতীয় নির্বাচনের আগে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের গণভোটের প্রস্তাব অবান্তর।
এমনিতেই দেশের পরিস্থিতি ভালো নয়। নির্বাচন বানচালের নানা ষড়যন্ত্র চলছে। তার মধ্যে কেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এরকম একটি সিদ্ধান্ত নিল?
কমিশনের কেউ কেউ কি তাহলে চান না দেশে নির্বাচন হোক? সরকারের ভিতরে একটা মহল নির্বাচন না করে আরও কিছুদিন ক্ষমতায় থাকতে আগ্রহী। আমাদের সুশীল সমাজের একটি অংশ সব সময় গণতন্ত্রবিরোধী। দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে তারা ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকতে চায়।
রাজনীতি থেকে আরো পড়ুন