জাতীয়

জুবায়েদ হত্যার নেপথ্যে ত্রিভুজ প্রেমের জটিলতা

প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২৫ ১৮:০৮

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ হুসেন (২৫) হত্যাকাণ্ডের পেছনে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর প্রেমঘটিত দ্বন্দ্বের ঘটনা। প্রেমের টানাপোড়েন থেকেই সাবেক প্রেমিক মাহির রহমান (১৯) ও বর্তমান প্রাইভেট শিক্ষার্থী বার্জিস শাবনাম বর্ষার (১৯) যৌথ পরিকল্পনায় তাকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মল্লিক আহসান উদ্দিন সামি। প্রেস ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস.এন. মো. নজরুল ইসলাম, পিপিএম।

 

তিনি জানান, গত এক বছর ধরে বার্জিস শাবনাম বর্ষাকে প্রাইভেট পড়াতেন জুবায়েদ। চার মাস আগে বর্ষা তাকে পছন্দ করতে শুরু করে। কিন্তু এর আগে বর্ষার সঙ্গে মাহির রহমানের নয় বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। জুবায়েদের প্রতি বর্ষার আগ্রহের বিষয়টি জানতে পেরে মাহির ক্ষুব্ধ হয় এবং বর্ষার সঙ্গে মিলে তাকে ‘সরিয়ে দেওয়ার’ পরিকল্পনা করে।

গত মাসের শেষ দিকে তারা হত্যার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে। পরবর্তীতে ঘটনার দিন বর্ষা জুবায়েদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার অবস্থান জেনে নেয় এবং সেই তথ্য মাহিরকে দেয়। এরপর জুবায়েদ বাসার নিচে পৌঁছালে মাহির ও তার বন্ধু ফারদিন আহম্মেদ আয়লান সেখানে উপস্থিত হয়। প্রথমে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়, যা একপর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নেয়।

এই সময় মাহির হঠাৎ করে ছুরি বের করে জুবায়েদের গলায় আঘাত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় জুবায়েদ সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠার চেষ্টা করলে নিচে পড়ে যায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে সবকিছু দেখেন বর্ষা। পুলিশ জানায়, জুবায়েদ তাকে বাঁচানোর জন্য অনুরোধ করলেও বর্ষা কোনো সহানুভূতি দেখাননি।

হত্যার ঘটনায় নিহতের বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত বংশাল থানায় মামলা করেছেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে মাহির রহমানকে, সহআসামি বর্ষা ও ফারদিন আহম্মেদ আয়লানকে। এছাড়া আরও পাঁচজনকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

ডিএমপি জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 

বার্তা সিলেট ডটকম / ইকবাল 

জাতীয় থেকে আরো পড়ুন