সিলেটের কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কূপে গ্যাসের সন্ধান
প্রতিদিন উত্তোলন হবে ৫০ লাখ ঘনফুট।
প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২৫ ১১:০১
সিলেটের কৈলাশটিলা গ্যাসের মজুত রয়েছে প্রায় ২০ বিলিয়ন ঘনফুট।
সিলেট প্রতিনিধি : সিলেটের কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কূপে প্রায় ৬ বছর বন্ধ থাকার পর আবারও গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। প্রতিদিন উত্তোলন হবে ৫০ লাখ ঘনফুট। মজুত রয়েছে প্রায় ২০ বিলিয়ন ঘনফুট। বড় ধরনের ত্রুটি না হলে আগামী ১০ বছর এই কূপ থেকে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি মূল্যমানের গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চুড়ান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এসব তথ্য দেন সিলেট গ্যাসফিল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল জলিল প্রামাণিক। এখান থেকে প্রতিদিন ৫০ লাখ ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হবে। আগামী ১০ বছর এভাবে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সিলেট গ্যাসফিল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে প্রকাশ,১৯৬১ সালে এই কুপটি খনন হয়। ১৯৮৩ সাল থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়। ২০১৯ সাল পর্যন্ত চারটি স্তর থেকে গ্যাস উত্তোলন হয়। ৬ বছর পর গত জুলাই মাসে এই কূপের পঞ্চম স্তরে গ্যাস মজুদের ধারণা থেকে ৭৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ওয়ার্কওভার প্রকল্প হাতে নেয় সিলেট গ্যাসফিল্ড। অবশেষে সফলতাও আসে। এলএনজি আমদানী মূল্য হিসাবে প্রতিদিন সাশ্রয় হবে প্রায় এক কোটি টাকা সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। সেই হিসেবে মাত্র ৭৩ দিনেই পুরো প্রকল্প ব্যয়ের সমপরিমান টাকার গ্যাস পাওয়া যাবে। গ্যাসফিল্ডের কর্মকর্তাদের মতে,২০২৩ সালে সরকার পুরাতন কূপগুলো পুনরায় ওয়ার্কওভারের সিদ্ধান্ত নেয়। সিলেট গ্যাস ফিল্ডের অন্যান্য প্রকল্পের পাশাপাশি কৈলাশটিলাসহ ৩টি কুপ ওয়ার্কওভারের জন্য ২২০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। গত ১২ আগস্ট এই কূপটি ওয়ার্কওভারের কাজ শুরু করে রাষ্ট্রয়াত্ত তেল গ্যাস কোম্পানি বাপেক্স। প্রায় তিন মাস কাজ শেষে ১২ নভেম্বর প্রাথমিক পরীক্ষা শুরু হয়। তথ্য উপাত্ত অনুযায়ী মজুত রয়েছে প্রায় ২০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। গ্যাসফিল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল জলিল প্রামাণিক বলেন,বর্তমানে গ্যাসের যে চাপ রয়েছে তাতে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ লাখ ঘনফুট হারে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা যাবে। এই হারে উত্তোলন হলে আগামী ১০ বছর এই কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। মজুত গ্যাসের আনুমানিক মূল্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমানে যে দামে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি করা হয় সেই হিসাবে প্রায় ৩ হাজার ৩শ কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।
সিলেট থেকে আরো পড়ুন
